সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট

বিজিটেক সকল ধরনের কোম্পানির জন্য সফটওয়্যার তৈরি করে থাকে। একটু উদাহরণ দিয়ে বলি, একজন দর্জি যেমন তার দোকানে কিছু রেডিমেড পোশাক রেখে দিতে পারে, আবার আপনি কাপড় কিনে এনে দর্জিকে দিয়ে আপনার মতো করে কোন পোশাক বানিয়ে নিতে পারেন। ঠিক আমরাও, আপনাকে কিছু সফটওয়্যার রেডিমেড দিতে পারি যদি সেগুলো আপনার কোম্পানির সাথে মিলে যায়। সাধারণতঃ এক্ষেত্রে হুবুহু ১০০% মিলে না। তখন কিছু জিনিস আপনার মতো করে বানাতে হয়। আবার, কখনো রেডিমেড না, আপনার প্রতিষ্ঠানের মতো করে সফটওয়্যার বানাতে হয়। এগুলোকে কাস্টমাইজড অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার বলা হয়। এগুলোও আমরা তৈরি করে থাকি। সফটওয়্যার তৈরি করার সময় সবসময় আমরা আপনার চাহিদাকে গুরুত্ব দিয়ে থাকি। আপনার চাহিদানুযায়ী আমরা সফটওয়ারের বাজেট এবং সময়কাল উল্লেখ করি।
আপনার সফটওয়্যার বিজিটেকের মাধ্যমে তৈরি করার পদ্ধতি সমূহঃ
১। আপনি বিজিটেককে ০১৭৪২৫৪৪১৭৮ এই নম্বরে ফোন দিবেন।
২। আপনি কি ধরনের সফটওয়্যার তৈরি করবেন সে সম্পর্কে কিছুটা বলবেন।
৩। বিজিটেক আপনাকে আনুমানিক বাজেট এবং সময়কাল সম্পর্কে ধারনা দিবে, যদি সম্ভব হয়। কারণ অনেক সফটওয়্যার আছে যেটির বাজেট এবং সময়কাল একদম প্রথমেই দেওয়া সম্ভবপর হয় না, একটু বিস্তারিত আলোচনার প্রয়োজন পড়ে।
৪। আপনি যদি বিজিটেক কে দিয়ে সফটওয়্যার তৈরি করার সিদ্ধান্ত নিন বা আরও বিস্তারিত জানতে চান তাহলে আরও বিস্তারিত আলোচনা করার জন্য বিজিটেক একটা তারিখ নির্ধারণ করবে।
৫। বিস্তারিত আলোচনা একদিন বা পরিস্থিতি অনুযায়ী কয়েকদিন ধরে হতে পারে।
৬। বিস্তারিত আলোচনার পর বিজিটেক সফটওয়ারের প্রধান প্রধান চাহিদাগুলো বুঝতে পারবে।
৭। তখন বিজিটেক আপনাকে সংশোধিত বাজেট এবং সময়কাল জানাবে।
৮। বিজিটেক এবং আপনার বা আপনার প্রতিষ্ঠানের মধ্যে একটা চুক্তি হতে পারে।
৯। চুক্তির সাথে এস এল এ (SLA- Service Level Agreement) থাকবে। এস এল এ তে কাজের বিস্তারিত তালিকা থাকবে।
১০। চুক্তি বা এস এল এ থাকা মানে এই নয় যে, এর বাইরে যাওয়াই যাবে না। কারণ সফটওয়্যার তৈরির প্রথমেই সব কিছু আগে-ভাগে বলা সম্ভব নয়। কাজেই, কাজ করার সময় কিছু সংশোধন আসবেই। তবে প্রধান বা বড় কিছুর পরিবর্তন এসে গেলে, বাজেট বা সময়কালের সংশোধনেরও প্রয়োজন হতে পারে।
১১। যারা চুক্তিতে আগ্রহী নন বা সফটওয়ারের বিস্তারিত বিবরণ জানাতে প্রথমেই সক্ষম নন, সেক্ষেত্রে বিস্তারিত আলোচনার পর বিজিটেক বিস্তারিত বিবরণ তৈরি করে কয়েক দফা আপনার সাথে বসবে। কাজের পুরো ফ্লো-র স্ক্রিনশট দেখাবে যাতে করে আপনি বুঝতে পারেন, আপনার সফটওয়ারের চেহারাটা কিরকম হবে। এভাবে সফটওয়ারের বিস্তারিত বিবরণ চূড়ান্ত করা হবে।
পুরো ফ্লো-র স্ক্রিনশট অবশ্য যারা চুক্তি করবেন তারাও পাবেন এবং তাদের ক্ষেত্রেও এভাবে সফটওয়ারের চেহারাটা কিরকম হবে তা চূড়ান্ত করা হবে।
১২। চুক্তি করার পর বা যারা চুক্তি করবেন না তাদের ক্ষেত্রে সফটওয়ারের বিস্তারিত আলোচনার পর সংশোধিত বাজেট এবং সময়কাল জানানোর পর বিজিটেক কে অগ্রিম-বাবদ কিছু অর্থ পরিশোধ করতে হবে। অর্থের পরিমাণ কত হবে তা আলোচনা-সাপেক্ষ।
১৩। পুরো সফটওয়ারকে অনেকগুলো ছোট ছোট কাজে ভাগ করা হবে। এরূপ ছোট ছোট কাজগুলো সম্পন্ন হওয়ার পর বিজিটেক আপনাকে দেখাবে এবং কাজগুলো ঠিকমত হয়েছে কিনা তা আপনার কাছে হতে জানবে।
১৪। এভাবে কিছু কাজ হওয়ার পর বিজিটেক আপনাকে সফটওয়ারের ঐ কাজ সমূহ আপনার কোন কম্পিউটারে ইনস্টল করে দিবে যাতে করে আপনি বা আপনার পক্ষ হয়ে কেউ ঐ সফটওয়্যারে কাজ করে দেখে নিতে পারেন সফটওয়ারটা ঠিকমত কাজ করছে কিনা। তবে এক্ষেত্রে সফটওয়্যার ইনস্টল করার জন্য প্রয়োজনীয় পরিবেশ তৈরি করা থাকতে হবে।
১৫। এভাবে এক সময় পুরো সফটওয়্যার তৈরি হয়ে গেলে, পুরো সফটওয়্যার নিয়ে আপনি বা আপনার পক্ষ হয়ে কেউ কাজ করবেন এবং সঠিক ডাটা দিয়ে সবকিছু সফটওয়ারের বিস্তারিত বিবরণ বা এস এল এ অনুযায়ী ঠিকমত আছে কিনা যাচাই করে নিবেন।
১৬। সফটওয়ারের পুরো কাজ ঠিকমত করা হয়ে থাকলে বিজিটেক আপনার কাছ হতে ‘সফটওয়্যার ঠিকমত তৈরি করা হয়েছে’- এরকম একটা সম্মতিপত্র গ্রহণ করবে।
১৭। অতঃপর চূড়ান্ত সফটওয়্যার লাইভ সার্ভারে ইনস্টল করা হবে যদি প্রয়োজন হয়। তবে এক্ষেত্রে সফটওয়্যার ইনস্টল করার জন্য প্রয়োজনীয় পরিবেশ তৈরি করা থাকতে হবে।